রহমত ডেস্ক 19 March, 2022 03:36 PM
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পরিকল্পিতভাবে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। দেশে ছদ্মবেশী বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আজ প্রত্যেকটি আইন ও নীতিমালা করা হচ্ছে। সংবিধান ও রাষ্ট্র ধ্বংসের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে। দেশ রক্ষায় সরকারকে হটানোর কোনো বিকল্প নেই। সমস্ত রাজনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে, একজোট সম্ভব না হলেও যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কাজটা কঠিন হলেও আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে হটানো হবে ।
আজ (১৯ মার্চ) শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের বার্ষিক কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে কাউন্সিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, কামাল উদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম এ আজিজ, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ করতে আইন করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা যেন সত্য কথা বলতে না পারে, সে জন্যই সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ আইন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ এক যুগে দেশের আত্মাকে ভাগ করে দিয়েছে, বাঁচতে হলে এদেরকে সরাতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই৷ আর এ সরকারকে সরাতে হলে অবশ্যই ঐক্য তৈরি করতে হবে। আমরা জাতীয়ভাবে চেষ্টা করছি—এ সরকারকে সরাতে, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। আমি জানি, সব সাংবাদিকরা এ সরকারের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করেন না, তাঁরা কষ্টে আছেন। এ রাষ্ট্র আমাদের, সমাজ আমাদের। সেই রাষ্ট্র-সমাজকে বাঁচাতে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এক যুগে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। এখন চায়ের দোকানে দুটো বেঞ্চ আলাদা, একটা আওয়ামী লীগের, অন্যটা বিএনপির। এ বিভাজন তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। আমাদের প্রয়াত মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেছেন—আওয়ামী লীগ সব পারে, শুধু পারে না পুরুষকে নারী করতে, আর নারীকে পুরুষ করতে। এখনও আওয়ামী লীগ সব করছে, সব পারছে তাঁরা। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াইয়ের ভাইকে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ পত্রিকায় নিউজ হয়েছে—কেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বেয়াইকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমার মনে হয়, এ নিউজের পর তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আওয়ামী লীগেরও বিচার হবে, আর সে বিচার হবে রাষ্ট্র ধ্বংসের জন্য। রাষ্ট্রের প্রতিটা সেক্টরকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।